মিজবাহ উদ্দীন আরজু, (মহেশখালী প্রতিনিধি) :
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বড় মহেশখালী ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত গৃহবধূ ময়না পাখি (২৪) বড় মহেশখালী ইউনিয়নের শুকরিয়া পাড়া গ্রামের লোকমান হাকিমের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ফকিরাকাটা গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে। তার দুই শিশু সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, ২২ জুলাই (শনিবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহত ময়না পাখির সন্তানদের কান্না শোনে স্থানীয় লোকজন ওই নারীর বাড়িতে এসে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার নিথর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মহেশখালী উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান স্থানিয় লোকজন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, ময়নার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা ময়নার ওপর অত্যচার চালিয়ে হত্যা করার পর বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মরদেহ বাড়ির চালার সাথে লাগানো ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখে। পরে শিশু সন্তানসহ নিহত ওই নারীকে বাড়িতে রেখে স্বামী লোকমান হাকিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
নিহত ময়না পাখির ভাই জানিয়েছেন, রাতে তার বোন ময়না পাখিকে পিটিয়ে ও মাথায় আঘাত করে আহত করা হয় বলে তারা খবর পান। পরে তারা তার বোনকে খুন করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানতে পারেন।
এদিকে ময়না পাখির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ওই নারীর মরদেহটি থানায় নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মহেশখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী জানান, উক্ত বিষয়ে খবর পাওয়ার পর আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে গিয়ে অনুসন্ধান করেছেন। লাশটির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply